স্বদেশ ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, `‘ছাত্ররা আমাদের নতুন কিছু শিক্ষা দিয়েছে, এটা নেওয়া উচিত। আমরা স্বাধীন হয়েছি, এখনো স্থিতিশীল হতে পারিনি। এখনো গণতন্ত্রকে ঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। এখন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার সমর্থন দিয়ে শক্ত করে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে।’
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীগর বলেন, ‘যারা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চালাচ্ছেন, তারা রাজনীতি বোঝেন না। তারা রাজনীতি করেন না। তারা একটা অল্প সময়ের জন্য এসে- এই রাষ্ট্রকে যে ধ্বংস করে দিয়েছে সেটাকে একটু টেনে তোলার চেষ্টা করছেন। এই সময়ে নেতিবাচক কথা বা কাজ করে- প্রচেষ্টাকে ভণ্ডুল করে দেওয়া ঠিক হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগনের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠন করতে পারব এবং সেটা সরকার গঠন করবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, ছাত্ররাও সংস্কারের কথা বলছেন। এই সংস্কারকে আমরা স্বাগত জানাই। ধৈর্য্য ধরতে হবে। আওয়ামী লীগ দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে।’ এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ওমহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং চলমান আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আসুন আমাদের ছোট-খাটো বিভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। গণতন্ত্রের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তাকে কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি সে জন্য একসঙ্গে কাজ করি। আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
সালাম তালুকদারকে স্মরণ করে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘২২ পরিবারের এক পরিবারের সদস্য ছিলেন আবদুস সালাম তালুকদার। তার সততা নিয়ে কেউ কখনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। বড় উদাহরণ- তার নাতনিকে নিয়ে তার মেয়েকে স্কুলে আনা-নেওয়া করে রিকশায়। অথচ, সালাম তালুকদারের চামচা হওয়ার যোগ্যতাও যাদের ছিল না, তারা কয়েক কোটি টাকা দামের গাড়িতে ঘুরে বেড়ান।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতির উদ্দেশ্যে দেশ ও দেশের মানুষকে শান্ত থাকতে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদেরকেও নানা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা তাদের নির্দেশনা কতটা মেনে চলছি, বুকে হাত দিয়ে স্মরণ করেন।’
শামসুজ্জামান মেহেদির পরিচালনায় আরও স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা এ এস এম আবদুল হালিম, আবদুস সালাম, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নিলোফার চৌধুরী মনি, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের জামাতা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।